আজ || সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে দারোগার মাথা ফাটানোর ঘটনায় ১৬ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ       গোপালপুরে দারোগার মাথা ফাটিয়েছে সন্ত্রাসীরা; গ্রেফতার ১০       গোপালপুরে প্রধানমন্ত্রীর ফেয়ার প্রাইজের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ       গোপালপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ       উত্তর টাঙ্গাইল নূরানী মাদরাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন       গোপালপুরে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত       গোপালপুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় শিশু ও নারী নিহত       গোপালপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির সংবর্ধিত    
 


টাঙ্গাইলে কোটি টাকার সেচ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে

 

ঘুষ না দেয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে সহস্রারাধিক একর বিঘা জমি অনাবাদি

নিজস্ব সংবাদদাতা :

download

পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির দরুন বিএডিসির ‘অচল নলকূপ সচল কর্মসূচি’ মুখ থুবড়ে পড়েছে। সংযোগ না পাওয়ায় সহস্রারাধিক একর জমি অনাবাদী থেকে যাচ্ছে। জানা যায়, বাড়তি খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার বিএডিসির সহযোগিতায় টাঙ্গাইলে ৫০ কোটির টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় বিএডিসি ২০১৪ সালে গোপালপুর উপজেলার চাতুটিয়া ও নিয়ামতপুর গ্রামে সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি গভীর নলকূপে ভূগর্ভস্থ সেচনালাসহ অবকাঠামো নির্মাণ করে। কিন্তু সেচ মৌসুম শেষ হওয়ার অজুহাতে পল্লী বিদ্যুৎ গত মৌসুমে সংযোগ দেয়নি। চাতুটিয়া ১১৮ নং গভীর নলকূপের ম্যানেজার মাওলানা আব্দুল হামিদ অভিযোগ করেন, গত মৌসুমে সংযোগ না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এবার মৌসুমের শুরুতেই গোপালপুর জোনাল অফিসে যোগাযোগ করে। কিন্তু ঘুষ না দেয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবারো টালবাহানা করছে। তিনি এ হয়রানির প্রতিকার দাবি করেন। ওই নলকূপের বোরো চাষী আব্দুল হাই তালুকদার জানান,‘ ঘুষ না দেয়ায় সরকারি সেচ প্রকল্পের নলকূপে সংযোগ না দেয়ায় কয়েক কোটি টাকার ফসলহানি হচ্ছে। বিএডিসির ওই প্রকল্পের উপসহকারি প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘টাকা জমার মানি রিভিস’ এর কাগজ বিএডিসি এক বছর আগেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সরকারিভাবে জমা দিয়েছে। আসলে পল্লী বিদ্যুৎ ফাইল হারানোর অজুহাত তুলে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে কৃষকদের হয়রানি করছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, বোরো চারা রোপনের সময় প্রায় শেষ। সংযোগ না পাওয়ায় সরকারি প্রকল্পের বোরো চাষীরা ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পল্লী বিদ্যুতের গোপালপুর ম্যানেজার আবুল বাশার জানান, ‘ঘুষ চাওয়া হয়নি।  মানি রিসিভ আমার অফিস থেকে হারিয়ে গেছে। স্কীম ম্যানেজারকে বলেছি বিএডিসি থেকে আরেকটি কপি এনে দেয়ার জন্য। ওই রশিদ  পুনরায় জমা না দেয়ায় সংযোগে বিলম্ব হচ্ছে।’

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!